Bon Balika pdf download | বন বালিকা pdf download

Bon Balika pdf download | বন বালিকা pdf download


Bon Balika pdf download - বন বালিকা বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। মুুুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের বইমেলা ২০২১ এ কিশোর উপন্যাস বন বালিকা বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি প্রকাশনী।


দেখে নিনঃ


Bon Balika pdf download | বন বালিকা pdf download


বইয়ের নামঃ বন বালিকা

লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

Bon Balika বইটি সাইন্স ফিকশন কিশোর উপন্যাস আকারে লেখা হয়েছে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মিতুল, যে প্রকৃতিকে ভালোবাসে। মিতুল মেয়েটা জন্ম থেকেই রহস্যের জালে ঘেরা। সে সাধারণ মানুষের মতো হলেও পশু-পাখি দের সাথে অনর্গল কথা বলতে পারে এবং তাদের কথা বুঝতে পারে। তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার জন্য তাকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। গ্রামের প্রভাবশালী লোক জব্বার মেম্বারের সাথে ঝামেলা হওয়ার কারণে তার বাবাকে জেলে যেতে হয়। সে তার মায়ের সাথে একাই থাকে। এই সব কাহিনী নিয়ে বন বালিকা বইটি লেখা হয়েছে।


Bon Balika বইয়ের কিছু অংশ

রাহেলা মিতুলের লম্বা চুলগুলাে চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে দুটো মােটা মােটা বেণি করে দিল। বেণি দুটোর মাথায় দুটো লাল ফিতা দিয়ে সে শক্ত করে বেঁধে দিয়েছে। তারপর মিতুলের থুতনিতে ধরে তাকে একটু আদর করে দিয়ে রাহেলা বলল, “এখন তুই স্কুলের জন্য রেডি!”


মিতুল তার স্কুলের ব্যাগটা হাতে নিয়ে বলল, “যাই মা?”


রাহেলা বলল, “আগেই না। যাওয়ার আগে কী করতে হয়?”


মিতুলের মুখে একটু লজ্জার ছায়া পড়ল, বলল, “প্রত্যেক দিন করতে হবে?


“হ্যা, মা। প্রত্যেক দিন করতে হবে।”


“আমার লজ্জা করে আম্মু।”


“লজ্জার কিছু নাই। ঠিক আছে আমি বলছি, আমার সাথে সাথে তুই বল।”


মিতুল মাথা নাড়ল, তখন রাহেলা গম্ভীর গলায় বলল, “আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে—” প্রতিদিন স্কুলে যাবার আগে মিতুলকে এই প্রতিজ্ঞাটা করে যেতে হয়।


মিতুল রাহেলার কথাগুলাে উচ্চারণ করল, “আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি “আমি কখনই কাউকে জানিতে দিব না—


মিতুল বলল, “আমি কখনই কাউকে জানিতে দিব না—”


“যে, আমি পশুপাখির কথা বুঝিতে পারি—


“যে, আমি পশুপাখির কথা বুঝিতে পারি—"


“এবং আমি পশুপাখির সাথে কথা বলিতে পারি।


“এবং আমি পশুপাখির সাথে কথা বলিতে পারি।”


রাহেলা একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “বল হে খােদা"


মিতুল বলল, “হে খােদা।”


“তুমি আমাকে রক্ষা কর এবং


“তুমি আমাকে রক্ষা কর এবং


“আমার আব্দুকে নিরাপদে রাখ।”


“আমার আব্বুকে নিরাপদ রাখ।”


রাহেলার গলা একটুখানি কেঁপে উঠল, “আমার আব্বকে যত


তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের কাছে আনিয়া দাও।”


মিতুলের গলা কাঁপল না, শান্ত গলায় বলল, “আমার আব্বকে যত


তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের কাছে আনিয়া দাও।”


“ফি আমানিল্লাহ।” রাহেলা তার কথা শেষ করল।


মিতুল তার ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে বলল, “ফি আমানিল্লাহ।”


তারপর দরজার দিকে হাঁটতে হাঁটতে বলল, “যাই আম্মু।”


“যাই বলতে হয় না, বল আসি।”


মিতুল ফিক করে হাসল, বলল, “আমি যাচ্ছি কিন্তু সেটা বলা যাবে না। বলতে হবে আমি আসি! কী আজব।”


রাহেলা বলল, “মােটেই আজব না। যাওয়ার থেকে আসা অনেক ভালাে।”


মিতুল বলল, ‘আসি মা।”


“আয় মা।”


মিতুল ঘর থেকে বের হয়ে বাসার সামনে রাস্তায় না গিয়ে প্রথমে বাসায় পিছনের গাছপালা ঘেরা জঙ্গলটার দিকে হাঁটতে থাকে। প্রতিদিনই সে তাই করে, রাহেলা একধরনের বিস্ময় নিয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে। মিতুল স্কুলে যাবার সময় সেখানে কীভাবে কীভাবে জানি রাজ্যের পাখি এসে হাজির হয়। মিতুল যাওয়া মাত্রই পাখিগুলাে কিচিরমিচির করে তাকে ঘিরে ধরে। কোনাে কোনােটা তার মাথার ওপর এসে বসে, কোনােটা ঘাড়ে। কোনােটা হাতে। অনেকগুলাে তাকে ঘিরে উড়তে থাকে। পাখিগুলাে নানা রকম বিচিত্র শব্দ করে, কোনাে কোনােটা তার গালে মুখ ঘষে। তার মুখে ডানা ঝাপটায়। মিতুল খুবই শান্তভাবে তাদের আদর করে, কোনাে কোনােটাকে দুই হাতে ধরে মুখের কাছে এনে চুমু খায়। কোনাে কোনােটা হাতে নিয়ে উড়িয়ে দেয়। 


রাহেলা দূর থেকে দেখে মিতুল ফিস ফিস করে কথা বলছে, কী বলছে কে জানে?


রাহেলা এদিক সেদিক তাকায়। জায়গাটা নির্জন, এমনিতেই কেউ আসে, হঠাৎ করে কেউ চলে এলে তাকে বিষয়টা বােঝাননা একটু কঠিন। এমনিতে অবশ্যি গ্রামের সবাই জানে মিতুল জন্তু-জানােয়ার পশুপাখিকে খুব ভালােবাসে, তার ব্যাগে প্যাকেটের মাঝে তাদের জন্য নানারকম খাবারদাবার রাখে। কেউ আসল কথাটি জানে না যে সে পশুপাখির সাথে কথা বলতে পারে। তাদের ধারণা মিতুল তাদের কিছু না কিছু খেতে দেয় তাই পশুপাখিগুলাে তার পিছনে পেছনে ঘুরে।


রাহেলা জানালায় মুখ লাগিয়ে গলা উঁচিয়ে বলল, “মিতুল, মা, অনেক হয়েছে, এখন স্কুলে যা।”


স্কুল শুরু হতে এখনও অনেক দেরি কিন্তু রাহেলা জানে, পথে পথে সে সবার গােয়ালে উঁকি দেবে, সব গরু-ছাগল-কুকুর-বেড়ালকে আদর করে করে যাবে! স্কুলে যেতে তার অনেক সময় লাগে! মিতুল শেষ পর্যন্ত সবগুলাে পাখিকে উড়িয়ে দিয়ে জঙ্গলমতাে জায়গাটা থেকে বের হয়ে এল। ছয় বছরের ছােট মানুষটা লম্বা লম্বা দুটো বেণি দুলিয়ে রাস্তার দিকে হাঁটতে থাকে। রাস্তায় উঠে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে একবার হাত নাড়ল। রাহেলাও হাসি হাসি মুখ করে হাত নেড়ে দেয়।


চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত রাহেলা তার মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। দেখতে দেখতে তার মেয়েটির ছয় বছর বয়স হয়ে গিয়েছে—যার অর্থ রাহেলার স্বামী আফজাল ছয় বছর থেকে জেলে। একজন মানুষের কত বড় দুর্ভাগ্য হলে পুরাপুরি নিরপরাধ হয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকা পড়ে থাকে? বিষয়টা চিন্তা করলেই রাহেলার শরীরটা ঝিমঝিম করতে থাকে। পুলিশ এসে আফজালকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সেই পুরাে............


You can Bon Balika pdf download here.


আরো পড়ুনঃ 


কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
সরাসরি লিংক click here.


নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Bon Balika pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন