Operation Nilanjona pdf download | অপারেশন নীলাঞ্জনা pdf download

Operation Nilanjona pdf download | অপারেশন নীলাঞ্জনা pdf download

Operation Nilanjona pdf download - অপারেশন নীলাঞ্জনা বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি কিশোর উপন্যাস। মুুুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের বইমেলা ২০২১ এ কিশোর উপন্যাস অপারেশন নীলাঞ্জনা বইটি প্রকাশ করেছে অনুপম প্রকাশনী।


দেখে নিনঃ 


Operation Nilanjona pdf download | অপারেশন নীলাঞ্জনা pdf download

বইয়ের নামঃ অপারেশন নীলাঞ্জনা

লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

Operation Nilanjona বইটি কিশোর উপন্যাস আকারে লেখা হয়েছে। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো সবাই কিশোর-কিশোরি। কয়েকজন কিশোর-কিশোরি নীলাঞ্জনা নামের একটা রিসোর্টে ডাকাত এবং গুন্ডাদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পরে এবং তাদের এই কাহিনী নিয়েই অপারেশন নীলাঞ্জনা বইটি লেখা হয়েছে।


Operation Nilanjona বইয়ের কিছু অংশ

শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা শেষ হল। পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার সময় টের পেলাম পরীক্ষা শেষ হলে যেরকম আনন্দ হবে ভেবেছিলাম তার কিছুই হচেছ না, বরং মেজাজটা কেমন যেন গরম হয়ে আছে। আনন্দটা হবে কেমন করে? পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমি পরীক্ষার কথা পুরােপুরি ভুলে যেতে চাই, কিন্তু তার কী কোনাে উপায় আছে?


পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই সবাই একজনের সাথে আরেক জন কথা বলতে থাকে। ফল মিলাতে থাকে। যখন মিলে যায় তখন একেকজন আনন্দে ফাক ফাক করে হাসতে থাকে। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে ফল মিলিয়ে কী লাভ? আমারগুলাে তাে কখনােই কারাে সাথে মিলে না। তাই আমি মেলানাের চেষ্টা করি না।


আজকে পরীক্ষার হলে আমার ঠিক পেছনে মজনুর সিট পড়েছে। মজনু হচ্ছে আমাদের ক্লাশের নামকরা ভালাে ছাত্র। তার পকেটে দুইটা কলম আর একটা রুলার থাকে। আমরা যেরকম খাতা ভাঁজ করে একটা মার্জিন করে লেখি, মজনু কখনাে সেটা করে না। রুলার দিয়ে নিখুঁতভাবে মার্জিন এঁকে নেয়। 


পরীক্ষার হলে শেষের দিকে আমি মজনুকে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলাম চার নম্বর অঙ্কটার উত্তর কতাে। সে এদিক-সেদিক তাকিয়ে ফিস ফিস করে বলল, “সাতাইশ।" আমার উত্তর এসেছে বাইশ। আমি অঙ্কটা গােড়া থেকে দেখে আবিষ্কার করলাম একেবারে শেষে পনেরাে আর বারাে যােগ দিয়ে আমারও উত্তর সাতাইশ হওয়ার কথা।  


কিন্তু পনেরাের পাঁচটাকে দেখে শূন্যের মত লাগছে তাই পনেরাের জায়গায় দশ যােগ দিয়ে ফেলেছি। যখন কেটে ঠিক করব ঠিক তখন হ্যাচকা টান দিয়ে বাকের স্যার খাতাটা নিয়ে গেল। আমি একেবারে হা হা করে বললাম,


স্যার এক সেকেন্ড—মাত্র এক সেকেন্ড 


বাকের স্যার তার হলুদ দাত বের করে রাক্ষসের মত একটা হাসি দিয়েবলল, “টাইম শেষ, আবার সামনের বছর!" আমার মনে হল ভালুকের মত ঝাপিয়ে পড়ে স্যারের হাত থেকে খাতাটা কেড়ে নিই, কিন্তু আসলে তাে আর সেটা করা যায় না তাই বসে বসে দাঁত কিড়মিড় করতে থাকলাম।


আমি যখন মেজাজ গরম করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি তখন মজনু এসে হাত পাতল, বলল, “আমার কলমটা!" আমার মনে পড়ল আমি আজকে মজনুর দুই নম্বর কলমটা দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। আজকে পরীক্ষার খাতায় নাম লেখার সময় আবিষ্কার করলাম আমার কলমটা দিয়ে লাল লেখা বের হচ্ছে। সারা দুনিয়ার নিয়ম হচ্ছে কালাে কলমের ক্যাপ হবে কালাে, লাল কলমের কাপ হাবে লাল। আমাদের বাসায় কেন লাল কলমে কেউ কালাে ক্যাপ লাগিয়ে রেখেছে কে জানে! আমি উঠে দাঁড়িয়ে মুখ কাচুমাচু করে বাকের স্যারকে বললাম,


“স্যার, লাল কলম দিয়ে কী পরীক্ষা দেওয়া যাবে?”


বাকের স্যার হলুদ দাঁত বের করে তার রাক্ষসের মত বিকট হাসি দিয়ে বলল, “না।”


“আমি স্যার ভুল করে লাল কলম নিয়ে এসেছি।”


“তাের ভুলের দায় দায়িত্ব তাের। আমার না।”


“কারাে কাছ থেকে একটা কলম নিয়ে নিই?”


“কে তার জন্য বাড়তি কলম নিয়ে বসে আছে?”


তখন আমি পেছনে ফিরে মজনুকে বললাম “এই মজনু তাের একটা কলম আমাকে দে।” মজনু মুখ কালাে করে ফেলল, ইতস্তত করে বলল, “যদি আমার লাগে"


“যদি লাগে তখন দেখা যাবে।”


মজনু মুখ ভােতা করে বলল, “কিন্তু"


আমি এবারে চাপা গলায় বললাম, “দে বললাম, নাহলে দেখ আমি তাের কী অবস্থা করি।”


ক্লাসে যেহেতু গুল্ডা হিসেবে আমার একটা সুনাম আছে মজনু কলমটা দিয়ে দিল। আমি তখন বাকের স্যারের দিকে তাকিয়ে আমার দাঁতগুলাে বের করে একটা হাসি দিয়ে বললাম, “পেয়ে গেছি স্যার।”


পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটা কলম পেয়ে গেছি বলে স্যার মনে হল খুবই অসন্তুষ্ট হলেন, কিন্তু কিছু বললেন না। আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে রইলেন। এখন মজনু তার কলমটার জন্য দাঁড়িয়ে আছে, আমি তাই পকেট থেকে কলমটা বের করে তার হাতে দিলাম। তার কলমটা দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি তাই তাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত কিন্তু আমি এইসব “থ্যাংকু, প্লিজ তার ধারে কাছে গেলাম না, শুকনাে গলায় বললাম, “কী ফালতু কলম তাের, লেখাই বের হয় না। পরীক্ষা দিতে জানটা বের হয়ে গেছে।”


মজনু একটু অবাক হয়ে বলল, লেখা বের হয় না? চাচা এটা আমেরিকা থেকে এনেছে-”


“এই জন্যই। ভেজাল মাল!


আমি মজনুকে আর কোনাে কথা বলায় সুযােগ না দিয়ে এগিয়ে গেলাম। বারান্দায় অন্য পাশে জটলা পাকিয়ে বেশ কয়েকজন ছেলে কথা বলছে। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল, “পরীক্ষা কেমন হয়েছে, নুরু?”


হ্যাঁ  আমার নাম নুরু। সবাই আড়ালে আমাকে নাডু ডাকে, তবে আমি গুড়া টাইপের বলে সামনাসামনি ডাকার সাহস পায় না। আমি বললাম, “ফাটাফাটি।”


“ফাটাফাটি ভালাে না ফাটাফাটি খারাপ?"


“দুইটাই হতে পারে। দেখি কোনটা হয়।”


ছেলেগুলাে তখন তাদের আলাপে ফিরে গেল, একজন জিজ্ঞেস করল, “পরীক্ষা শেষ, এখন কী করবি, সাদিব?” সাদি আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে হাইফাই ছেলে। বাবা বিল্ডিংয়ের ব্যবসা করে। বিল্ডিংয়ের ব্যবসা কেমন করে করতে হয় আমি জানি না কিন্তু এই ব্যবসায় নিশ্চয়ই অনেক টাকা। আমরা দেখেছি তাকে নিতে একেক দিন একেকটা গাড়ি আসে।


পরীক্ষা শেষে সাদিব কী করবে সেটা আমিও শুনতে চাচ্ছিলাম, তাই আমি একটু দাঁড়ালাম। সাদি উদাস মুখে বলল, “পুকেট যেতে পারি।” একজন জিজ্ঞেস করল, “পুকেটটা কোনখানে? খাগড়াছড়ি না রাঙামাটি?"


সাদি বলল, “না, না। পুকেট থাইল্যান্ডে!"


আমি হাঁটতে শুরু করলাম, শুনলাম আরেকজন জিজ্ঞেস করছে, “তুই কী করবি?”


একজন বলল, “না বাবা, আমি থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর যাব না। দেশেই থাকব। কক্সবাজার আর রাঙামাটি।” আরেকজন বলল, “আমরা নানাবাড়ি যাব। পদ্মাপাড়ে। নানার বিশাল একটা নৌকা আছে, যেখানে শােয়ার ঘর বাথরুম সব আছে।”................

You can Operation Nilanjona pdf download here.


আরো পড়ুনঃ 


কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
সরাসরি লিংক click here.


নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Operation Nilanjona pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন