বাহ টুনটুনি বাহ বাহ ছোটাচ্চু পিডিএফ ডাউনলোড । Bah Tuntuni Bah Bah Chotaccu PDF Download

বাহ্ টুনটুনি বাহ্ বাহ্ ছোটাচ্চু পিডিএফ ডাউনলোড । Bah Tuntuni Bah Bah Chotaccu PDF Download

Bah Tuntuni Bah Bah Chotaccu pdf download - বাহ টুনটুনি বাহ বাহ ছোটাচ্চু বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের ২০২৩ এ কিশোর উপন্যাস বাহ্ টুনটুনি বাহ্ বাহ্ ছোটাচ্চু বইটি প্রকাশ করেছে পার্ল পাবলিকেশন্স। ২০২১ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবালযেরকম টুনটুনি সেরকম ছোটাচ্চু (২০২০) সহ অপারেশন নীলাঞ্জনাবন বালিকাযেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বই গুলো প্রকাশ করেছে।


দেখে নিনঃ


বইয়ের নামঃ বাহ্ টুনটুনি বাহ্ বাহ্ ছোটাচ্চু

লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

বাহ্ টুনটুনি বাহ্ বাহ্ ছোটাচ্চু বইটি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের একটি বই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোতে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু শিরোনামে ডিটেকটিভ গল্প লেখা শুরু করলে সেটা কিশোরদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পাঠকদের অনুরোধে লেখক নিয়মিত টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজ লিখতে থাকেন। পরবর্তিতে সেই গল্প গুলোকে বই আকারে রূপ দেওয়া হয়।

Bah Tuntuni Bah Bah Chotaccu বইয়ের কিছু অংশ

ছোটাচ্চুর অফিস যাত্রা...


ছোটাচ্চু ফুটপাথে দাঁড়িয়ে তার অফিসের দিকে তাকাল। সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা, দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি। ওপরে বাংলায় নিচে ছোট করে ইংরেজিতে। তার নিচে ঠিকানা। কতদিন পর আজ ছোটাচ্চু তার অফিসে আসছে। তার নিজের হাতে তৈরি করা অফিস অথচ সরফরাজ কাফী সেটা দখল করে নিয়েছিল। বাসার বাচ্চাদের নানা কাজকর্মে ছোটাচ্চু মাঝে মাঝেই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে কিন্তু তাকে স্বীকার করতেই হবে তাদের জন্য শেষ পর্যন্ত ছোটাচ্চু তার অফিসটা ফেরত পেয়েছে। আবার সে এখানে কাজ শুরু করবে। ছোটাচ্চু একটুখানি আবেগপ্রবণ হয়ে গেল ।


ছোটাচ্চু পকেট থেকে চাবি বের করে দরজাতে লাগাতে গিয়ে একটু অবাক হয়ে আবিষ্কার করল দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ। শুধু যে বন্ধ তা-ই না, মনে হলো ভেতরে মানুষজনের গলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কী আশ্চর্য!


ছোটাচ্চু দরজায় শব্দ করল, তখন শুনল একজন এসে দরজার ছিটকিনি খুলে একটুখানি দরজা ফাঁক করে উঁকি দিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কে?” ছোটাচ্চু গলার স্বর চিনতে পারল এবং মানুষটিকেও চিনতে পারল, ও তার ভাগনি টুম্পা। টুম্পা এখানে কী করছে জিজ্ঞেস করার আগেই টুম্পা তাকে জিজ্ঞেস করল, “ছোটাচ্চু? তুমি? তুমি এখানে কী করছো?” ছোটাচ্চু চোখ কপালে তুলে বলল, “আমি কী করছি মানে! আমার অফিসে আমি আসব না?”


টুম্পা বলল, “কিন্তু পাসওয়ার্ড না জানলে অফিসে ঢোকা যাবে না। বলো পাসওয়ার্ড কী?


“পাসওয়ার্ড?” ছোটাচ্চু রেগে বলল, “ঢং পেয়েছিস?”


টুম্পা বলল, “উঁহু, হয় নাই। ‘ঢং পেয়েছিস' পাসওয়ার্ড না।” বলে কিছু বোঝার আগেই টুম্পা দড়াম করে তার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলো। ছোটাচ্চু কয়েক সেকেন্ড কী করবে বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে রইল, তারপর আবার দরজা ধাক্কা দিলো। এবার আগের থেকে জোরে।


এবারে ছোটাচ্চু দরজার অন্য পাশে একটু ফিসফিস কথা শুনতে পেল, তারপর আবার দরজা খুলে গেল, এবার দরজার ফাঁক দিয়ে ছোটাচ্চু পুরো বাহিনীকে দেখতে পেল, মুনিয়া, টুম্পা, টুনি, প্রমি, শান্ত এবং অন্য যারা আছে। শান্ত গলা উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, “ছোটাচ্চু তুমি কী চাও?”


ছোটাচ্চু এবারে সত্যি সত্যি রেগে উঠল, “আমি কী চাই? আমি কী চাই মানে? তোরা এখানে কী করে এসেছিস? তোরা কী চাস?” টুনি শান্ত গলায় বলল, “তোমার যোগাযোগ না করে আসা উচিত হয় নাই ছোটাচ্চু। যোগাযোগ করে আসা উচিত ছিল।”


ছোটাচ্চু এবারে প্রায় চিৎকার করে বলল, “আমার নিজের অফিসে আসার আগে তোদের সাথে যোগাযোগ করে আসা উচিত ছিল?”


এবারে শান্ত বলল, “এটা এখনও তোমার নিজের অফিস হয় নাই ছোটাচ্চু। আমরা এটা উদ্ধার করেছি, সেই জন্য এখন এইটা আমাদের অফিস। আমরা যখন তোমাকে বুঝিয়ে দেবো তখন থেকে এইটা হবে তোমার অফিস।”


টুম্পা বলল, “তার মানে যখন তোমাকে হস্তান্তর করব—” ছোটাচ্চু প্রায় খেঁকিয়ে উঠে বলল, “হস্তান্তর? তুই হস্তান্তর বানান জানিস?” টুম্পা শান্তভাবে বলল, “জানব না কেন? শুধু দন্ত্য-স না মূর্ধন্য-ষ সেটা মাঝে মাঝে একটু প্যাচ লেগে যায়-


দরজায় সবচেয়ে নিচে মুনিয়ার মাথাটা দেখা গেল। সে রিনরিনে গলায় বলল, “কিন্তু ছোটাচ্চু, পাসওয়ার্ড ছাড়া তুমি ঢুকতে পারবে না। পাসওয়ার্ডটা শুরু হয়েছে চ দিয়ে—”

ছোটাচ্চু হুংকার দিলো, “চোপ—”


“হয় নাই।”


মুনিয়ার কথা শুনে সবাই হি হি করে হেসে উঠল, সেটা শুনে ছোটাচ্চু আরো রেগে গিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে থেমে গেল । চোখের কোনা দিয়ে দেখতে পেল আশেপাশে মজা দেখার জন্য বেশ কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। ছোটাচ্চু এবারে গলা নামিয়ে নরম গলায় বলল, “এই তোরা কী পাগলামো করছিস? দরজা খোল — চারপাশে মানুষ জমে যাচ্ছে— ”


বাচ্চারা নিজেদের মাঝে ফিসফিস করে কিছুক্ষণ কথা বলল তারপর টুনি বলল, “ঠিক আছে তোমাকে ঢুকতে দিচ্ছি কিন্তু ঠিক দশ মিনিটের জন্য । তারপর তুমি চলে যাবে।” “সেটা দেখা যাবে।”


টুম্পা বলল, “কিন্তু আগে পাসওয়ার্ডটা বলো। পাসওয়ার্ড হচ্ছে ‘ইলিশ মাছ'।”


ছোটাচ্চু দাঁতে দাঁত ঘষে বলল, “ ইলিশ মাছ মোটেও চ দিয়ে শুরু না।”


বাচ্চারা ছোটাচ্চুর কথায় উত্তর না দিয়ে দরজা খুলে দিলো। ভিতরে ঢুকে দেখে অফিসে সবাই আসর জমিয়ে বসেছে। কাগজপত্র ছড়ানো- ছিটানো, এদিক-সেদিক চিপসের খালি প্যাকেট এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসের খালি বোতল। সরফরাজ কাফী টাকা-পয়সা উপার্জন করার জন্য নানা ধরনের স্যুভেনির বিক্রি করত। তার মাঝে একটা হচ্ছে মগ। মগগুলো একটার ওপর একটা রেখে পিরামিডের মতো একটা টাওয়ার বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে, যেকোনো সময়ে সেগুলো পড়ে ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে। বাইরের ঘরের মাঝামাঝি সিলিং ফ্যানের একটা খালি হুক থেকে একটা দোলনা ঝোলানো হয়েছে। তার দামি চেয়ারটা এক পাশে পড়ে আছে, মনে হচ্ছে একজন সেখানে বসে অন্যরা সেটা ঠেলে নিয়ে ঘরের ভেতরে ঘুরে বেড়ায়। পিছন দিকে তার নিজের অফিসটার দরজা খোলা, দেখা যাচ্ছে সেক্রেটারিয়েট টেবিলের ওপর একটা বিছানা পাতা আছে।


ছোটাচ্চু এক নজর দেখে মুখ কালো করে বলল, “এখানে কী হচ্ছে?” শান্ত প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল, “মনে আছে তো, দশ মিনিট?” ছোটাচ্চু বলল, “আমার কোনো ক্লায়েন্ট যদি কেস নিয়ে আসে, তারা দেখে কী বলবে?”


টুম্পা বলল, “আসছে তো।”


ছোটাচ্চু গলা উঁচিয়ে বলল, “আসছে?”


“হ্যাঁ।”


“ভিতরে ঢুকছে?”


“হ্যাঁ।


“এই অবস্থা দেখছে?”


“না। তখন আমরা গুছিয়ে ফেলি। তারা টের পায় না।”


ছোটাচ্চু মুখ শক্ত করে বলে, “তোদের দেখে অবাক হয় না?” “নাহ্! আমরা বলি তুমি এখন অফিসের বাইরে, আমরা তাই অফিস পাহারা দিচ্ছি।”

“তারা বিশ্বাস করে?”.....................


You can Bah Tuntuni Bah Bah Chotaccu PDF Download here.

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
সরাসরি লিংক click here.


নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Bah Tuntuni Bah Bah Chotaccu PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন